আউটসোর্সিং একটি সম্ভাবনাময় পেশা। আউটসোর্সিং মার্কেটে ওয়েব ডিজাইনার, ওয়েব ডেভেলপার, এসইও স্পেশালিস্ট এর চাহিদা এখন তুঙ্গে। যে কোন শিক্ষিত ব্যক্তি কোর্স গুলো করে স্বাবলম্বী হতে পারেন কিংবা স্বল্প আয়ের ব্যক্তিগণ তার আয় বাড়াতে পারেন। ডাটা এন্ট্রি এবং ওয়েব রিসার্চ এর মত কাজ গুলো তো খুব সহজেই করা যায়। কাজেই আপনি কেন বেকার থাকবেন? জিসাইট এর সহযোগিতা নিন, ঘরে বসে বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জন করে ভাগ্যটাকেই বদলে দিন।

WELCOME TO GAIBANDHA COMPUTER & IT EDUCATION : গাইবান্ধা কম্পিউটার এন্ড আইটি এডুকেশন এ আপনাকে স্বাগতম

 

উন্মুক্ত প্রশ্ন-উত্তর

আমি কম্পিউটার শিখতে চাই, যতসব কোর্স, দেখেই তো মাথা খারাপ, কী শিখব?

ঠিক তাই, কম্পিউটার শিখতে চাইলে তো মাথা খারাপ হবেই। কারণ, কম্পিউটার একটা মেশিন, এটা শেখার বিষয় নয়। আসলে আপনি কম্পিউটার শিখবেন না, বরং কম্পিউটারের মাধ্যমে কাজ করা শিখবেন। আর যারা কম্পিউটারে কাজ শিখতে যায় তাদের মাথা কখনোই খারাপ হয় না, বরং অনেক সময় খারাপ মাথাও ভাল হয়ে যায়।

কী কাজ শিখব?

পৃথিবীর মানুষ করে এমন কোন কাজ নেই, যা কম্পিউটার দিয়ে করা যায় না। সুতরাং আপনাকেই বেছে নিতে হবে, আপনি কী কোর্স করবেন। এক্ষেত্রে আপনার যে ধরণের কাজের প্রতি আগ্রহ বেশী সেই ধরণের কাজের সাথে সম্পর্কিত কোন কোর্সে ভর্তি হওয়াই উত্তম। লেখালেখি, ছবি আঁকা কিংবা সৃজনশীল কোন কাজ (যেমন- কোডিং) কিংবা অন্য কোন কাজ যা করতে আপনার ভাল লাগে সেটাই বেছে নেয়া যেতে পারে।

একজন শিক্ষার্থী কিভাবে এটা নির্ধারণ করবে?

একদম সহজ। আপনি অফিসের কাজ শিখতে চাইলে অফিস কোর্স করুন, ছবি বা গ্রাফিক্স নিয়ে কাজ করতে চাইলে গ্রাফিক্স কোর্স করুন। আর আপনি যদি উচ্চাকাঙ্খী হন, তাহলে আপনার জন্য উত্তম হচ্ছে মার্কেটিং কিংবা কোডিং সংক্রান্ত বিভিন্ন কাজ যেমন- এসইও, এফিলিয়েট, ওয়েব ডিজাইন-ডেভেলপমেন্ট, সফটওয়ার/এ্যাপস ডিজাইন-ডেভেলপমেন্ট ইত্যাদি।

কেবলমাত্র আপনারাই ভালমানের প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকেন, তার প্রমাণ কী?

আমরা কখনোই বলি না যে, কেবলমাত্র আমরাই ভালমানের প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকি। তবে প্রজেক্ট ভিত্তিক প্রশিক্ষণ দেয়া না হলে তা কখনোই কর্মক্ষেত্রে ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে পারে না। যেমন- আপনি অফিস কোর্স করেছেন, অথচ অফিসের কোন কাজ আপনাকে করতে দেয়া হলে আপনি যথাসময়ে যথাযথভাবে তা করতে পারলেন না, মানে আপনার প্রশিক্ষণ ভাল হয়নি। আমাদের সকল কোর্স প্রজেক্ট ভিত্তিক, তাই শিখেছিলাম, ভুলে গেছি একথা বলার কোন সুযোগই নেই। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, বেশীরভাগ প্রতিষ্ঠানই প্রজেক্ট ভিত্তিক প্রশিক্ষণ দেয় না।

আপনাদের কোর্স ফি বেশী কেন?

আমাদের কোর্স ফি বেশী নয়, বরং অন্যদের তুলনায় একটু বেশী। প্রকৃতপক্ষে পণ্য বা সেবার মূল্যমান নির্ধারিত হয় তার উপযোগের ভিত্তিতে। যার উপযোগিতা বেশী, তার মূল্যমানও বেশী হবে। বর্তমানে বাজারে ৫০০/- টাকা হলেই একটি মোবাইল ফোন সেট কেনা যায়, তারপরেও মানুষ ৮০/৯০ হাজার বা তারও বেশী টাকা দিয়ে মোবাইল ফোন সেট কেন ক্রয় করে? বাংলাদেশে এতগুলো বিশ্ববিদ্যালয় থাকা স্বত্বেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতি শিক্ষার্থীরা কেন এত বেশী আগ্রহী? অথচ সকল বিশ্ববিদ্যালয়েই একই বিষয় পড়ানো হয়। কী আজব আমাদের ধ্যান-ধারণা, সন্তানের একজন গৃহ শিক্ষক মাসে ১০/১২ দিন প্রকৃতপক্ষে ১০/১২ ঘন্টা পড়ায়, তার জন্য তাকে প্রতিমাসে ৪/৫ হাজার টাকা দিলেও বেশী মনে হয় না বরং বেশী টাকা দেয়ার জন্য গর্ববোধ করি; অথচ ভবিষ্যৎ কর্মক্ষেত্রে অত্যাবশ্যক একটি কোর্স যার মেয়াদকাল কমপক্ষে ৩৬০ ঘন্টা তার জন্য নির্ধারিত সামান্য কোর্স ফি আমাদের কাছে বেশী মনে হয়।

আউটসোর্সিং করার জন্য কী লাগে?

কেবলমাত্র কোর্স করলেই হবে না, বরং কোর্স করার পাশাপাশি যে কাজ শিখবেন তাতে দক্ষতাও অর্জন করতে হবে। আপনি অফিস কোর্স, গ্রাফিক্স, মার্কেটিং কিংবা কোডিং যে কোর্সই করুন না, দক্ষ হতে না পারলে আউটসোর্সিং বা ফ্রীল্যান্সিং জগতে আপনি মূল্যহীন। সেইসাথে ইংরেজীতে কমিউনিকেশন ক্ষমতা অবশ্যই থাকতে হবে। ইংরেজীতে নির্দেশিত কোন কাজ যথাযথভাবে সম্পাদন করে দিতে পারলেই ফ্রীল্যান্সিং জগতে আপনার সাফল্য সময়ের ব্যাপার মাত্র।

 

 

প্রতিষ্ঠানের ইতিবৃত্ত :

প্রতিষ্ঠানটি বিগত নভেম্বর/২০০২ সালে যাত্রা শুরু করে শারমিন মাল্টিমিডিয়া গার্ডেন নামে। পরবর্তীতে ২০০৩ সালে শারমিন মাল্টিমিডিয়া কম্পিউটার ট্রেনিং ইন্সটিটিউট নামে বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক এ্যাফিলিয়েশন প্রাপ্ত হয়। অতঃপর ২০১১ সালে বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড বরাবরে আবেদনের প্রেক্ষিতে প্রতিষ্ঠানটির নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় গাইবান্ধা কম্পিউটার এন্ড আইটি এডুকেশন। কেবলমাত্র ব্যবসায়িক স্বার্থ হাছিল নয়, বরং সঠিক পদ্ধতিতে স্বল্প খরচে কম্পিউটার প্রশিক্ষণ দিয়ে দক্ষ জনশক্তি তৈরীর মাধ্যমে ক্রমবর্ধমান বেকারত্ব দূরীকরণে সহায়ক ভূমিকা রাখতে প্রতিষ্ঠানটি অবিরত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

প্রতিষ্ঠানটির বৈশিষ্ট্য :

১. কোয়ালিটি ও সততার প্রশ্নে আপোষহীন একমাত্র নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠান।
২. আন্তর্জাতিক মানের প্রফেশনাল তৈরীর লক্ষ্যে প্রজেক্ট ভিত্তিক প্রশিক্ষণ দেয়া হয়।
৩. ১০০% প্রফেশনাল কোর্স তাই শিখেছিলাম, ভুলে গেছি, এরূপ উক্তি অবান্তর।

কোর্স কারিকুলাম :

বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক পরিচালিত ৩/৬ মাস মেয়াদী ১. কম্পিউটার অফিস এ্যাপ্লিকেশন ও ২. ডাটাবেজ প্রোগ্রামিং কোর্স দুইটির অনুমোদন নিয়ে সঠিক পদ্ধতিতে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। এছাড়াও প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব উদ্যোগে আরো বেশ কয়েকটি এ্যাডভান্স লেবেলের কর্মমূখী কোর্স পরিচালনা করা হয়। এ্যাডভান্স লেবেলের কোর্সগুলোর মধ্যে ১. সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (এসইও) ২. ওয়েব ডিজাইন ৩. ওয়েব ডেভেলপমেন্ট ৪. এফিলিয়েট মার্কেটিং ইত্যাদি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। কোর্স প্যাটার্ণ দেখতে বা কোর্সগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন।

বাড়তি সুযোগ :

জিসাইটবিডি নামে আমাদের আছে একটি আউটসোর্সিং টিম যেখানে কাজ করছে এক ঝাঁক দক্ষ ফ্রীল্যান্সার। অত্র প্রতিষ্ঠান কর্তৃক পরিচালিত এ্যাডভান্স লেবেলের কোর্সগুলো করে যারা নিজেকে দক্ষ ফ্রীল্যান্সার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চান তাদেরকে সহযোগিতা করার ক্ষেত্রে টিম এর সদস্যরা সর্বদাই আন্তরিক।

ব্যতীক্রম যা আছে :

অত্র প্রতিষ্ঠানটি কেবলমাত্র বেকারত্ব দূরীকরণের লক্ষ্যে দক্ষ জনবল সৃষ্টির মধ্যেই সীমাবদ্ধ নাই। বরং সমাজ ও রাষ্ট্র ব্যবস্থার বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিদ্যমান অসঙ্গতিগুলো চিহ্নিত করে আলোচনা-সমালোচনার সুযোগ সৃষ্টির মধ্য দিয়ে সমাধানের পথ খুঁজে পেতে সহায়ক ভূমিকা রাখতে অত্র প্রতিষ্ঠান কর্তৃক বেশ কিছু ওয়েবসাইট প্রকাশ ও পরিচালনা করা হয়। উল্লেখিত ওয়েবসাইটগুলো থেকে শিক্ষার্থী সহ সকল শ্রেণী-পেশার মানুষ নানাভাবে উপকৃত হবে। সাইটগুলোর মধ্যে বেশ কয়েকটি ব্লগ সাইটও আছে যেখানে রেজিস্ট্রেশন করে যেকেউ নিজের ভাবনাগুলো প্রকাশ করতে পারেন।