আমাদের কথা
আমাদের দেশের সীমিত চাকরীর বাজারে উপযুক্ত জ্ঞান আর অভিজ্ঞতা থাকার পরেও নিজের জন্য একটা চাকরী জুটানো বেশ কষ্টকর। শুধু কষ্টকর বললে ভুল হবে বরং বলা চলে এদেশে চাকরী পাওয়াটা রীতিমত ভাগ্যের ব্যাপার। দেশে প্রতি বছর হাজার হাজার শিক্ষার্থী পড়াশোনা শেষ করে চাকরী খোঁজার প্রতিযোগিতায় নামছে, ভিন্নভাবে বলা চলে পড়াশোনা শেষ করে একেকজন বেকারে পরিনত হচ্ছে। একদিকে যেমন আমাদের অনুন্নত শিক্ষাপদ্ধতি নষ্ট করে ফেলছে নিজে কিছু নতুন উদ্ভাবন করার ক্ষমতা, আরেকদিকে শুধু চাকরী করে খেয়ে পরে বেঁচে থাকার মত যথেষ্ট চাকরীও নেই।
কোণঠাসা হয়ে পড়া আমাদের এই সকল তরুনদের এখন প্রধান কর্তব্য হচ্ছে এই সমস্যার সঠিক এবং সুদূরপ্রসারী সমাধান। বেকার সমস্যার সমাধান করতে হলে হয় আমাদের চাকরীর পরিধি বৃদ্ধি করতে হবে অথবা নিজেকে নিজের ক্যারিয়ারের পথে সব থেকে উপযুক্ত করে গড়ে তুলতে হবে যার জন্য দরকার উন্নত প্রশিক্ষন এবং রিসোর্স। যেগুলো বরাবরই ছিল আমাদের দেশের মানুষের হাতের নাগালের একেবারে বাইরে।
কিন্তু বর্তমানে আমাদের জন্য খুশির সংবাদ এই যে ইন্টারনেট এবং আউটসোর্সিং এর কল্যাণে এখন চাকরীর পরিধি যেমন পৃথিবীব্যাপী বৃদ্ধি পেয়েছে তেমনি অনায়াসে অনলাইনে খুঁজে পাওয়া যায় যেকোনো বিষয়ের উপর পর্যাপ্ত রিসোর্স। এই রিসোর্স ব্যাবহার করে নিজেকে আন্তর্জাতিক চাকরীর বাজারে উপযোগী করে তুলে অনেকেই ঘরে বসে আউটসোর্সিং করে আয় করছেন অন্য যেকোনো দেশীয় চাকরীর চাইতে অনেক বেশি টাকা। কিন্তু ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও একটা বড় অংশ এই ওয়েব রিসোর্স ব্যাবহার করে নিজেকে উন্নত করতে পারছেন না, কারণ এই রিসোর্স ব্যাবহার করা বা নিজের জন্য উপযুক্ত কাজ খুঁজে পাওয়ার মত জ্ঞানের অভাব। আবার অনেকের আছে ইংরেজিতে দুর্বলতা বা ইংরেজি ভীতি যার ফলে রিসোর্স থাকা সত্ত্বেও সেগুলো ব্যাবহার করতে পারছেন না। শিখতে পারছেন না কোন কিছুই।
এই সকল বেকার মানুষদের প্রশিক্ষনের মাধ্যমে উন্নত জনশক্তিতে রুপান্তর করে দেশের বেকার সমস্যার সুদূরপ্রসারী সমাধান করা সম্ভব। আর এই উদ্দেশেই আমরা প্রতিষ্ঠা করেছি “গাইবান্ধা কম্পিউটার এন্ড আইটি এডুকেশন”। অনলাইন আয়ের ক্ষেত্রগুলোকে কেন্দ্র করে আমরা দিচ্ছি আন্তর্জাতিকমানের প্রশিক্ষন।
|